ভূমিকা
পড়, তোমার প্রভুর নামে, যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন (সূরা আলাক:১)
মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তা’আলা পবিত্র কুরআনে শুরুতেই জ্ঞান অর্জনের নির্দেশ দিয়েছেন এবং মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মানব জাতির জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে মনোনীত করেছেন। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা’আলা প্রদত্ত নির্দেশ মানব জাতির মাঝে যে পদ্ধতিতে ছড়িয়ে দিয়েছেন সেই পদ্ধতিতেই জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক নর-নারীর কর্তব্য। এই মহামূল্যবান জ্ঞান নবীজির সুন্নাত তরিকায় চারদিকে ছড়িয়ে দেওয়া আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। শিক্ষাব্যবস্থায় হিফজুল কুরআন একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আল্লাহ তা’আলার অসীম রহমত ও দয়া ছাড়া কুরআন হিফজ করা সম্ভব নয়। এ বিষয়ে পবিত্র কুরআন ও হাদীসে বিস্তর বিবরণ এসেছে। আলহামদুলিল্লাহ, উপর্যুক্ত বিষয়ের আলোকে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত উন্নত পরিবেশে যুগোপোযোগী শিক্ষাকারিকুলাম অনুসারে নূরানী, নাজেরা, হিফজুল কুরআন ও কিতাব বিভাগসহ জেনারেল শিক্ষার সমন্বয়ে একটি সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থার আয়োজন করেছে নাদওয়াতুল কুরআন মাদরাসা।
পবিত্র কুরআনের অসীম জ্ঞানভান্ডারের সহায়তায় আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক গুণাবলিসমৃদ্ধ একটি জাতি গঠনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনই নাদওয়াতুল কুরআন মাদরাসার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
আল্লাহভীরু ও সুন্নাতের অনুসারী প্রকৃত মুমিন এবং দেশপ্রেমে উজ্জীবিত জাতি গঠনের মহান ব্রতকে সামনে রেখে নাদওয়াতুল কুরআন মাদরাসার এগিয়ে যেতে চায়। আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের এই প্রচেষ্টাকে কবুল করুন। আমীন!!!
আরজগুজার